নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা জনাব আব্দুর রহমানের ১৭ ই মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সাক্ষাৎকার।
ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গঠনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু আআন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বার বার পাকিস্তানি শাসকগোষ্টির কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কখনও কারো কাছে মাথা নত করেনি। কিন্তু ৭৫’এ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, কেড়ে নিয়েছিল মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার। প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হত্যার মধ্যদিয়ে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল বাঙালী ও জাতির পিতার স্বপ্নকে। বাংলাদেশকে বানানো হয়েছিল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য। ঠিক সেই মুহুর্তে স্বদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ আলোর পথে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন আজ দৃশ্যমান। ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতি চারণ করে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ১৭ মে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাাসিনা। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার ফিরে আসা ঘিরে পুরো বাঙালী জাতির মধ্যে আনন্দের জোয়ার উঠেছিল। লাখো জনতা মিছিল ও শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে আসেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা ফিরে আশার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষ উজ্জল নক্ষেত্র দেখতে পেয়েছিলেন। সেদিন শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র পাতিষ্ঠানিক রুপলাভ করেছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ১৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ্য করে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ১৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন, ওই দিনে নতুন করে বাঙালীর জন্ম হয়েছিল, নতুন করে বাঙালীর স্বপ্ন দেখেছিল, প্রতিটি বাঙালীর মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জেগেছিল, সেদিন শেখ হাসিনাকে আপামর জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি হিসেবে পেয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি হিসেবে পেয়েছিলেন। যে রক্ত কোনো দিন বাঙালীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে না, বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে রক্ত হাসতে হাসতে জীবন দিতে জানে, যে রক্ত বাঙালীর জন্য জীবন যৌবন বিসর্জন দিয়েছে, বাঙালীর স্বার্থে যে রক্ত কোনো দিন মানুষের কাছে মাথানত করেনি, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি, শোষকের কাছে মাথানত করেনি, ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আপোস করেনি, শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে আশায় বাঙালীরা সেই রক্তকে পেয়েছিলেন।